শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার বৌলাই রাজকুন্তি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত ইমরানুল হক হিমেল বৌলাই মূলসতাল এলাকার মো. হাবিবুর রহমান হবির ছেলে। তিনি রাজন গ্রুপের সমর্থক ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বৌলাই এলাকার বাসিন্দা জেলা যুবদলের তথ্য সম্পাদক আলী আব্বাস রাজন ও সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এ ঘটনার জের ধরে আজ শুক্রবার বিকেলে বৌলাই বাজারের কাছে রাজকুন্তি এলাকায় উভয়পক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৬ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় রাজন গ্রুপের সমর্থক ইমরানুল হক হিমেল। আহত অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনার পর হিমেলের সমর্থকরা বৌলাই এলাকায় বেশ কিছু বসতবাড়িতে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীরা তাদের রাস্তায় আটকে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আশপাশে অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'সংঘর্ষে একজন মারা যাওয়াসহ অনেকেই আহত হয়েছে।' খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটজনকে হেফাজতে নিয়েছে।
No comments:
Post a Comment