বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টায় ভয়াবহ বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি সিএনজি পাম্পে সকাল ৬টার সময়ে একটি বাসে গ্যাস দেওয়ার সময় বিস্ফোরনে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়।
বাসের মধ্যে গ্যাস দিচ্ছিলেন কর্মী রাসেল, পাশেই ছিলেন ম্যানাজার জয়নাল মিয়া। ৩৭ পয়েন্ট গ্যাস দেওয়ার পরেই গ্যাসের নজেল (গ্যাসের পাইপ) ছিড়ে যায়, সাথে সাথে বিস্ফোরন ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে অগ্নিকাণ্ড সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় পাম্পে গ্যাস নিতে আসা ১০টি সিএনজি ও বাসটি বশীভূত হয়। এসময় সিএনজি পাম্পের তিন তলায় থাকা কয়েকজন কর্মী লাফ দিয়ে নীচে পড়ে গুরুতর আহত হন। গ্যাস পাম্প সহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্যাস নিতে আসা কয়েক শতাধিক ছোট বড় যানবাহন ও নানান পেশার লোকজন আতংকিত হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি ও চিৎকার করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল৬টায় একটি বাস আউশকান্দি গ্যাস স্টেশনে আসে। বাসটি সকাল ৬টায় গ্যাস নেওয়ার সময় বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়।
বিভিন্ন গাড়ির চালকরা দৌড়ে রক্ষা পেলেও গ্যাস পাম্পের কর্মী রাসেল(২৫) ম্যানাজার জয়নাল আবেদিন (৪০)সহ ৬জন গুরুতর আহত হন। আরও ৪জন সিএনজি চালক আহত হন, তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
পাম্পের সহকারী ম্যানাজারের দায়িত্বে থাকা শোয়েব আহমদ জানান, আমরা তিন তালার মধ্যে ঘুমে ছিলাম। হঠাৎ শুনি আগুন, আগুণ শব্দ, উঠে দেখি চারিদিকে আগুন। আমরা তিনজন প্রাণ বাঁচাতে পিছনে তিন তলা থেকে ধানি জমির কাদার মধ্যে লাফ দিয়ে পড়ে প্রাণে রক্ষা পাই। বাসের মধ্যে গ্যাস দিতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আমিসহ আমাদের ৬জন আহত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুণ নিয়ন্ত্রণ করি। আগুনে ১০ সিএনজি, একটি বাসসহ পুরো পাম্প পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আহত ৪জনকে তাৎক্ষনিকভাবে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন সিলেট এমএজি ওসমানী ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
No comments:
Post a Comment