সময় ডেস্ক : একের পর এক ক্যাচ ছাড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ব্যাটিংয়ে অনেকটা টেনে নিলেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে অন্যদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৫০ রানের লক্ষ্যও ছুঁতে পারল না বাংলাদেশ। টানা দুই হারে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও খোয়াল টাইগাররা। আগামী শুক্রবারের ম্যাচ তাই বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দেড় শ রান তাড়ায় চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে সাইফ হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। তখন দলীয় রান ১৩। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক লিটন দাসকে নিয়ে ভালোই ব্যাটিং করেন তানজিদ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন। ১৭ বলে ২৩ রান করে আউট হন তিনি। দলীয় ৪৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি গড়ে বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেটে। ২৮ বলে ৩৭ রান যোগ করেন তানজিদ ও হৃদয়। দলীয় ৮৫ রানে আউট হওয়ার আগে ১৪ বলে ১২ রান আসে হৃদয়ের ব্যাটে। একপাশ আগলে রাখা তানজিদ আউট হন চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে, ১৮তম ওভারের প্রথম বলে, দলীয় ১১৭ রানে। ততক্ষণে অবশ্য বাংলাদেশের ওপর রানের চাপ পড়ে যায়। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি হাঁকিয়ে ৪৮ বলে ৬১ রানে ফেরেন তানজিদ।
শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৩৩ রান। জাকের আলি-শামীম হোসেনরা এই চাপ দূর তো করতে পারেনইনি, উল্টো বাড়িয়েছেন চাপ। জাকের ১৮ বলে ১৭ রানে এবং শামীম ২ বলে ১ রান করে আউট হয়েছে। শেষ দিকে আর কঠিন সমীকরণ মেলাতে পারেননি রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিবরা। ১৩৫ রানে থামলে হার দেখতে হয় ১৪ রানে।
এর আগে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ভাগে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও ১৪৯ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতেও টসে হারেন লিটন দাস। ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন হোপ। দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পায় টাইগাররা। ব্যান্ডন কিংকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করেন আথানেজ ও হোপ।
তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আথানেজ যখন ফেরেন তখন ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বল শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১০৬। রান যখন দুই শ ছুঁইছুঁই হওয়ার কথা, তখনই আগুনে বোলিং শুরু করেন নাসুম আহমেদ-রিশাদ হোসেনরা। শেষ ৫২ বলে ৮ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবিয়ানদের রান মাত্র ৪৩। যেখানে প্রথম ৬৮ বলে ১ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে ফেলে দলটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন হোপ। ৩৬ বলের ইনিংসে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান আসে আথানেজের ব্যাটে। তিনিও ছক্কা হাঁকান তিনটি, তবে ৫বার বল গড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন। এর বাইরে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৭ রান করেন রোস্টন চেজ।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে মাত্র ২১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেনে তিনি। সমান ওভারে ৩৫ রান খরচায় নাসুমের শিকার ২ উইকেট। ৩ ওভার বোলিং করে রিশাদও ২ উইকেট নেন। তাসকিনের শিকার একটি উইকেট।

No comments:
Post a Comment