বুধবার (২০ আগস্ট) নগরীর একটি হোটেলে সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে শিশু কল্যাণ বিষয়ক এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর সিলেট এরিয়া কো-অর্ডিনেশন অফিসের সিনিয়র ম্যানাজার কাজল এ দ্রং। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার জাবির আহমদ নোমান।
সভায় সংস্থার পক্ষ থেকে, গত এক বছরে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৫ উপজেলায় শিশু কল্যাণ ও হতদরিদ্র মানুষের জীবণমান উন্নয়নে গৃহিত কার্যক্রমের অংশ বিশেষ তুলে ধরা হয়।
উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে ১ হাজার ৩৯৩টি স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন বিতরণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬টি ওয়াশ ব্লক নির্মাণ, ৩টি পাইপ লাইন ওয়াটার সিস্টেম স্থাপন, ২২টি সাবমালসেবল টিউবওয়েল স্থাপন, ৫ বছরের নীচে ২৩ হাজার শিশুদের জিএমপি বাস্তবায়ন করা এবং অপুষ্টি দূরিকরণে সচেতনতা বৃদ্ধি।
আয়বৃদ্ধিমূলক কাজে উৎসাহিত করতে ১ হাজার ৩২০ জনকে ১৮ হাজার টাকা করে বিতরণ, ১ হাজার ৫৮৫ পরিবারে ১৫ হাজার ৪শ’ হাঁস বিতরণ এবং ৫শ' এর অধিক ক্যাম্পেইন এর প্রচারণা চলে।
সভায় সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের লিড কো-অর্ডিনেটর ফিল্ড কমিউনিকেশনস আবোনি আলবার্ট রোজরিও বলেন, হাঁস মোরগ ও গবাদিপশু বিতরণের সাথে শিশু কল্যাণ নিহিত। কারণ শিশুর অভিভাবকরা এ থেকে উপকৃত হলে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে।
সভাপতির বক্তব্যে কাজল এ দ্রং বলেন, কর্ম এলাকায় জরিপের ভিত্তিতে ও এলাকাবাসীর মাধ্যমে সমস্যা চিহিৃত করে কাজ করে ওয়ার্ল্ড ভিশন। এ ক্ষেত্রে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট কমিটির মাধ্যমে কার্যক্রম সফল বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালানো হয়। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে ভিডিসি, সিভিও, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে কার্যক্রম হস্তান্তর করা হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় শিশু কল্যাণে কার্যক্রম জোরদারে মতামত তুলে ধরে সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইকরামুল কবির, ইকবাল সিদ্দিকী, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, এমএ হান্নান, আব্দুল কাদের তাপাদার, খালেদ আহমদ, সংগ্রাম সিংহ, কামাল উদ্দিন আহমদ, কবির আহমদ, ফারুক আহমদ, আহবাব মোস্তফা খান, আনাস হাবিব কলিন্স, নূর আহমদ, নাসির উদ্দিন, আহমদ জামিল প্রমুখ।
সভায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম আফিসার আশুতোষ রেমা, অশেষ রেমা, শিশু সুরক্ষা অফিসার অ্যান্তনী রংদী, ইয়ং প্রোফেশনাল পাবেল হুসেন এবং অতি দাস।
No comments:
Post a Comment