সোমবার (১৮ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জামিউল ইসলাম রাকিব।
তার আগের দিন রোববার জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান পাঠান (প্রান্ত) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদা শামীম সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করেছেন। একইসঙ্গে সংগঠনের সব স্তরের নেতাকর্মীদের ইসহাক আহমেদের সঙ্গে কোনো প্রকার সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৫ আগস্ট ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে ইসহাক লেখেন, “জন্ম অথবা মৃত্যুর কোনো বিশেষত্ব নেই, মুখ্য হলো মানুষের হৃদয় জয় করা…। শুভ জন্মদিন দেশ মাতা, বিনম্র শ্রদ্ধা জাতির পিতা…”।
এই পোস্ট দলের নজরে এলে ১৭ আগস্ট তাকে শোকজ করা হয় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি দলের নির্দেশনা অমান্য করে ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট দিয়ে নিজেকে দল থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতির ঘোষণা দেন। এর পরদিনই তাকে বহিষ্কার করা হয়।
ফেসবুকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ইসহাক লেখেন, “আমার ব্যক্তিদর্শন, মুক্তচিন্তা, অহিংসা, ভিন্নমত পোষণ করার মানসিক ভাবনাটা যদি হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, তবে আমি আমার সব রাজনৈতিক পদ ও দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম। আমি আমার অবস্থান থেকে বাংলাদেশের পাশে, দলের পাশে, নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ্।”
এ প্রসঙ্গে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জামিউল ইসলাম রাকিব বলেন, “দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সে এমন পোস্ট দিতে পারে না। এটি দলের আদর্শ ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী কাজ। তাকে শোকজ করা হয়েছিল, কিন্তু জবাব না দিয়ে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। তাই সংগঠন তাকে বহিষ্কার করেছে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”
No comments:
Post a Comment