সময় ডেস্ক : কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার এক গ্রামে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় চলছে পুরো এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। স্থানীয় এক ২৫ বছর বয়সী নারী তাঁর ওপর সংঘটিত বর্বর নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন।
গ্রেপ্তার হন মূল অভিযুক্ত ফজর আলীসহ পাঁচজন। কিন্তু ঘটনার মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় হঠাৎ করেই ওই নারী মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালেন, যা জন্ম দিয়েছে নতুন করে প্রশ্নের।
ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্যে, ‘আমি নিজেই মামলা করেছি, কেউ চাপ দেয়নি। কিন্তু এখন আমি মামলা তুলে নিচ্ছি, কারণ আমার স্বামী আমাকে গ্রহণ করছেন না। আমার সঙ্গে কথা বলছেন না, ফোনও ধরছেন না।’
মামলার এজাহার অনুযায়ী, দুর্গাপূজার রাতে ওই নারী একা বাড়িতে ছিলেন। রাত ১০টার দিকে ফজর আলী নামের এক যুবক ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশজুড়ে ক্ষোভের ঝড় তোলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে। বাকি চারজন সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিক গ্রেপ্তার হন নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে। এদের সবার বাড়ি মুরাদনগরেই।
মামলা দায়েরের পর থেকেই এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়, ভুক্তভোগী ও মূল অভিযুক্তের মধ্যে নাকি আগে থেকেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কেউ কেউ বলছেন, এটি ‘পরকীয়া’র পরিণতি।
তবে এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করেছেন ওই নারী। ‘ফজর আলীর সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল না। ওর সঙ্গে শুধু টাকা-পয়সা নিয়ে কথা হতো। ও আমাকে টাকা দিত, আমি ফিরিয়ে দিতাম,’ এমনটাই জানান ভুক্তভোগী।
তবে স্থানীয়দের বক্তব্য ভিন্ন। তাঁদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং টাকা-পয়সার লেনদেনও নিয়মিত চলত।
No comments:
Post a Comment