সময় ডেস্ক : জুলাই আন্দোলনকে ‘বিক্রি’ করে দেওয়ার অভিযোগ এনেছে ওই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী তারিমা। সম্প্রতি এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা কখনো বলিনি যে শেখ হাসিনাকে সরাতে হবে কারণ আমরা রাজনীতি করব। আমাদের বক্তব্য ছিল, আমাদের যেসব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে সেগুলো ফিরিয়ে দিতে হবে।”
তারিমা বলেন, একসময় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে এনসিপির ওপর থেকে আস্থা উঠে গেছে। এ কারণে তিনি আর সেই চিন্তা করেন না।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদ ঘোষণা করেনি- এ বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার পরও এনসিপি কোনো কার্যকর কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। বরং তারা নীরব থেকেছে। তারিমা বলেন, এনসিপি কার্যত এই আন্দোলন বিক্রি করে দিয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হিসেবে বিএনপিকে চিহ্নিত করেন তিনি। তারিমা বলেন, “বিএনপি যদি ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করে তাহলে তাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের চেয়েও খারাপ হবে। আওয়ামী লীগ পালানোর সুযোগ পেয়েছে, বিএনপির সেই সুযোগও থাকবে না।”
সবাইকে নিজের নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারিমা বলেন, “যদি মনে হয় আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত, তাহলে অবশ্যই তা দাবি করতে হবে এবং স্পষ্টভাবে কথা বলতে হবে।”
তারিমার ভাষায়, “আমরা রাজনীতি করার জন্য রাস্তায় নামিনি। আমাদের দাবি ছিল, জনগণের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা হোক। এখন যারা জনগণের দাবি নিয়ে বসে পড়েছে, তারা আসলে জনগণের আন্দোলন বিক্রি করে নিজেরা সুবিধা নিতে চাইছে।”
No comments:
Post a Comment