বুধবার (২০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেন এ সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসন ক্যাডার ব্যত অন্যান্য যেসব ক্যাডারে তৃতীয় গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদ রয়েছে, সেসব ক্যাডারের ৭৮জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া যেতে পারে’ বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
যাদের পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে গ্রেড-১ পদে ১২ জন, গ্রেড-২ পদে ৩২ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৩৪ জন কর্মকর্তা আছেন।
পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করা তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, কমিটি ছয়জন কর্মকর্তাকে তিন ধাপ, ১৭ জন কর্মকর্তাকে দুই ধাপ ও ৫৫ জন কর্মকর্তাকে এক ধাপ পদোন্নতির সুপারিশ করেছে।
১৩২ জন কর্মকর্তাকে কমিটি পদোন্নতির সুপারিশ করেনি। তাঁদের কেন পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়নি, প্রতিটি ক্ষেত্রে এর সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের লিখিত সুপারিশ, বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধির মতামত ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করেছে।
উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বঞ্চনার শিকার এবং উল্লিখিত সময়ের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিতে আরও রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধি।
কমিটি দুই ধাপে কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। কমিটি প্রথম ধাপে উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে বঞ্চনার আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে।
দ্বিতীয় ধাপে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য যেসব ক্যাডারে তৃতীয় গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদ রয়েছে, সেসব ক্যাডারের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩১৮টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ৬৮টি আবেদন কমিটির আওতাবহির্ভূত ও ৪০টি আবেদন তথ্যগতভাবে অসম্পূর্ণ হওয়ায় মোট ১০৮টি আবেদন বিবেচনা করা সম্ভব হয়নি। ফলে কমিটি কর্তৃক পর্যালোচনাযোগ্য আবেদন ছিল ২১০টি। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করার জন্য কমিটি ১৪টি সভা করেছে।
প্রত্যেক ক্যাডারের আবেদন বিবেচনার সময় কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment