সময় ডেস্ক : সম্প্রতি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর এক অভিযোগ উঠেছে- মুসলিম নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে নির্বাসিত করা হচ্ছে। মানবাধিকার গোষ্ঠী ও আইনজীবীরা বলছেন, ভারতজুড়ে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন বেড়েছে।
এসব অভিযানে যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের অনেককে “অবৈধ বাংলাদেশি” হিসেবে চিহ্নিত করে কোনও প্রমাণ বা আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং আইনের লঙ্ঘন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নয়াদিল্লির এই ‘পুশ ইন’ কার্যক্রম একপ্রকার পরিকল্পিত ধর্মীয় ও জাতিগত নিপীড়ন। এতে কেবল বাংলাদেশ নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সিনিয়র গবেষক তাসকিন ফাহমিনা বলেন,
“ভারত মূলত মুসলিম ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে, যা কোনো রাষ্ট্রের ন্যায্য আচরণ হতে পারে না।”
এই প্রক্রিয়ায় শুধু বাংলাদেশি নয়, বরং বহু ভারতীয় মুসলমান নাগরিকও শিকার হচ্ছেন। যেমন, ৬২ বছর বয়সী শারীরিকভাবে অক্ষম হাজেরা খাতুন, যিনি জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিক, তাকেও বিনা আইনি প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে পাঠানো হয়েছে।
তার মেয়ে জোরিনা বেগম প্রশ্ন তুলেছেন, “আমার মা কীভাবে বাংলাদেশি হতে পারেন? আমাদের কাছে নথি আছে।”
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়ে এ ধরনের অনধিকার প্রবেশ বন্ধে ভারতকে অনুরোধ করা হলেও, নয়াদিল্লি কোনো জবাব দেয়নি।
এভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতীয় মুসলমানদের নির্বাসিত করার ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এতে দক্ষিণ এশিয়ায় জাতিগত ও ধর্মীয় বৈষম্য আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment