আসলে ছাগলের একাধিক বাচ্চা প্রায় একসাথে হয়। বাচ্চা প্রসবের ক্ষেত্রে ছাগী একবারে ১০-১৫ মিনিট অন্তর অন্তর একাধিক বাচ্চা প্রসব করতে পারে। আর ছাগী একসাথে দুটি বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে পারে। কিন্তু দুইয়ের বেশি হলে অন্য বাচ্চাদের লাইনে দাঁড়াতে হয়। আর লাইন লাগলেই যে বাচ্চা উত্তেজনায় (!) তিড়িংবিড়িং শুরু করে দেয়, সেটিই হলো ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা।
আবার কেউ মনে করেন, ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা বলতে বঞ্চিতদের তিড়িংবিড়িংকে হাইলাইট করা উচিত। আবার অন্য পক্ষের মতে, দুধ না খেয়েই হুদাই আহ্লাদে বা উত্তেজনায় লাফালাফি করা দিয়েই ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাকে সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন। এতেই নাকি এই বিশেষণের সত্যিকারের প্রয়োগ হয়। আর যাই হোক, এখন আশা করি মনুষ্যরূপী ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা আসলে কারা, তা কিছুটা বোঝা গেছে। এবার তাদের চিনে নেওয়ার কিছু লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
১ম লক্ষণ :
স্বাভাবিকভাবেই এরা তিড়িংবিড়িং করে, হুদাই লাফায়। অতিরিক্ত লাফানো বা উত্তেজিত কাউকে দেখলে শুরুতেই কার্যকারণ খোঁজার চেষ্টা করুন। কেন সে লাফাচ্ছে? কেন তিড়িংবিড়িং করছে? কেন সব কথায় নিজের বামসহ সব হাত-পা ঢুকিয়ে দিচ্ছে? কোনো দূরতম কারণও না পেলে বুঝে নেবেন, আপনি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার দেখা পেয়ে গেছেন।
২য় লক্ষণ :
আপনি না চাইলেও, সকল বিষয়ে যারা আপনাকে অযাচিত ‘জ্ঞান’ দান করতে থাকে, তাদের ব্যাপারে সতর্ক হোন। তাদের দেওয়া কিছু ‘জ্ঞান’ ক্রসচেক করে দেখুন। ঝামেলা পাচ্ছেন কি? না পেলে বুঝবেন ওদের মাথায় সমস্যা। আর যদি পেয়ে যান, তাহলে এবার ১ম লক্ষণটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করুন। নিশ্চিতভাবেই পেয়ে যাবেন। তখনই বুঝে যাবেন, আপনি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার দেখা পেয়ে গেছেন।
ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা চিনতে এই দুই লক্ষণই যথেষ্ট। অন্যকে চেনার আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ওপরও প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। দেখা গেলো, চমকেই গেলেন একেবারে!
No comments:
Post a Comment